যে ৮টি মশলা ওজন কমায়

যে ৮টি মশলা ওজন কমায়

মসলা 
আমরা খাবার তৈরিতে নানা মসলা ব্যবহার করি কিন্তু আমাদের অনেকের হয়তো অজানা যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসা মসলাগুলোতে রয়েছে বিস্ময়কর কিছু ঔষধিগুণ মসলা শুধু আমাদের খাবারের স্বাদ আর ঘ্রাণই বাড়ায় না, এদের আছে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মেটাবলিজম বাড়ায় ফলে এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে যারা ওজন কমাতে চান তারা জেনে নিতে পারেন কোন কোন মসলা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে:

বেশি খেয়ে ওজন কমান!

বেশি খেয়ে ওজন কমান!


কি চমকে গেলেন নাকি? না চমকানোর কিছু নেই আপনি হয়তো পশ্চিমা সুপার মডেলদের কথা চিন্তা করে না খেয়ে ওজন কমানোর সব বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন যদি তাই করে থাকেন তাহলে এই মুহূর্তে সব বাদ দিয়ে তৈরী হয়ে নিন খেয়ে ওজন কমানোর জন্য কিন্তু কিভাবে? আসুন ডা: কামরুল ইসলাম কি বলেন জেনে নিই

আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের বিপাক ক্রিয়া কমে যাবে, যার ফলে ক্যালরি খরচ কমে যাবে। এক্ষেত্রে হিতে-বিপরীত হয়ে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। আর শরীরে পুষ্টির অভাবে অন্যান্য সমস্যা তো লেগেই থাকবে

অপরদিকে খাদ্য গ্রহন করলে আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি পায় এবং শরীর পরিণত হয় ফ্যাট বা চর্বি পোড়ানোর যন্ত্রে। আপনার শরীরের ফ্যাট দূর করতে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো দৈনিক তিনবেলার খাবারকে ছোট ছোট করে - বেলায় ভাগ করে নিতে হবে। প্রতিবার খাবারে থাকতে হবে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন বা আমিষ, যা আপনার পেশীকে করবে সুগঠিত। দৈনিক - বার অল্প করে খাদ্য গ্রহনে আপনার শরীর যেমন থাকবে প্রাণবন্ত তেমনি ডায়াবেটিস, উচ্চ-রক্তচাপসহ নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি থেকে রাখবে মুক্ত। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এটি আপনার শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করবে

পড়ুন কাজে আসবে 
  1. যে ৮টি মশলা ওজন কমায়
  2. দৈনিক মাত্র ১০ মিনিট চুম্বন কমাবে অতিরিক্ত ওজন!
  3. পেটের মেদ কমানোর ৬টি ধাপ
  4. লেবু-মধুর সরবত খাওয়ার সাবধানতা
  5. লেবুর ১৫ রকম উপকারিতা
  6. মধুর ১৭ রকম উপকারিতা
  7. সহজে ওজন কমাবে যে টি খাবার
  8. ব্যায়াম ছাড়াই ৬টি প্রাকৃতিক উপায়ে কমিয়ে ফেলুন বাড়তি ওজন!
  9. ওজন কমাতে হলে ধরনের পানীয়
  10. মেদ কমাতে পেটের সামনের পেশীমাসলের রেগুলার ব্যায়াম
  11. ফিট থাকতে কি খাব, কখন খাব
  12. দ্রুত ঝরে যাবে বাড়তি মেদ, ৪টি কাজ করুন সন্ধ্যা রাতে !
  13. কম খেয়ে কি ওজন কমান যায়
  14. বাড়তি ওজন কমাবেন কি ভাবে







দৈনিক মাত্র ১০ মিনিট চুম্বন কমাবে অতিরিক্ত ওজন!


দৈনিক মাত্র ১০ মিনিট চুম্বন কমাবে অতিরিক্ত ওজন!


চুম্বনকে সবসময়েই ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ধরা হয় তবে চুম্বনকে এখন শুধুমাত্র ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেই নয় বরং ওজন কমানোর একটি পদ্ধতিও বলা যেতে পারে অবাক হচ্ছেন?অবাক হলেও সত্যি যে প্রতি এক মিনিট চুম্বনে - ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়ানো সম্ভব যা ঘন্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয় অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। চুম্বনের মাধ্যমে ওজন কমাতে ব্যায়ামের মত বিরক্তিকরও লাগে না অর্থাৎ এটি ক্যালোরি পোড়ানোর একটি সহজ উপভোগ্য মাধ্যম এছাড়াও গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে অর্থাৎ গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প । চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলো মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়

চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে বেশি ক্যালোরি পোড়ে দেখে নেয়া যাক

গাঢ় চুম্বন
চুম্বনে কতটুকু ক্যালোরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার উপরে হালকা চুম্বনে কম ক্যালোরি পোড়ে অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালোরি পোড়ানো যায়

দাঁড়িয়ে চুম্বন
দাঁড়িয়ে চুম্বনে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয় গবেষণায় দেখা গেছে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলক ভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে

গভীর নিঃশ্বাস নিন

বড় করে নিঃশ্বাস নিলেও অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে চুম্বনের সময় এমনিতেও শ্বাসপ্রশ্বাস বেশি নেয়া হয় এসময় বুক ভরে বড় বড় নিঃশ্বাস নিলে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব



পেটের মেদ কমানোর ৬টি ধাপ

পেটের মেদ কমানোর ৬টি ধাপ


বর্তমান সময়ে পেটের মেদ আমাদের মাথাব্যাথার একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি যে শুধু সৌন্দর্যহানী করে তা নয়, শরীরে যে বিভিন্ন অসুখ বাসা বাঁধছে তাও নির্দেশ করে পেটের মেদ কমানোর বেশ কিছু পন্থা আছে আসুন প্রধান কয়েকটি পন্থা নিয়ে আজকে আলোচনা করা যাক

১. সময়মতো ঘুম
আপনার যদি রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস থাকে তাহলে আরেকবার ভাবুন। কারণ অসময়ের ঘুম আপনার শরীরের জৈবিক ছন্দ নষ্ট করে দেয়। এর ফলে আপনার শরীরে খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। পেটে চর্বি জমার প্রবণতা প্রায় ৫গুন বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও শরীরে হরমোনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায়। যা আপনার মুটিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই মেডিক্যাল সায়েন্সের ভাষায় রাতের ৭ঘন্টা ঘুমই শরীর ঠিক রাখতে শ্রেষ্ঠ

২. ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম
বেশিরভাগ মানুষই মনে করে জিম করা বা কষ্টকর ব্যায়ামই দিতে পারে পেটের মেদ থেকে মুক্তি। কিন্তু ধারণা ভুল। কারণ ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম আপনি যদি নিয়মিত করতে পারেন তাবে এগুলোই আপনার জন্য যথেষ্ট। যেমন ফ্লোর ক্রাঞ্চেস্‌, বার-পিস, সিঙ্গেল লেগ স্কোয়াট, পুশ-আপস্‌, চেয়ার ডিপস্৩০ সেকেন্ড করে দিনে - বার করে দেখুন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ হাটুন

৩. চিনির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করুন
পেটের মেদ কমাতে ৮০ ভাগ ভূমিকা রয়েছে সঠিক খাদ্যের। সঠিক খাদ্য বলতে বোঝানো হয় যেগুলো ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে যেমন প্রোটিন বা আমিষ, শাক-সব্জি, শস্যদানা ইত্যাদি। খাদ্য তালিকা থেকে যথাসম্ভব চিনি দূরে রাখুন। চিনির বদলে সুক্রোলোজ (যা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগার ফ্রি নামে পাওয়া যায়) ব্যবহার করুন। প্রতিবার চায়ের কাপে চিনির বদলে মধু ব্যবহার করুন। এতে চিনির বিকল্পও হবে, পাশাপাশি পেটের মেদও কমবে

৪. ভিটামিন সি এর সাথে থাকুন
ভিটামিন সি সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। টক জাতীয় ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। এই উপাদানটি আমাদের শরীরে সেই হরমোনটির ব্যালেন্স ঠিক রাখে যেটি শরীরে মেদ নিয়ন্ত্রন করে। ভিটামিন সি কারনিটিন নমক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান তৈরী করে, যা শরীরে চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে

৫. চর্বি খাবেন তবে ভালটি
জিনিসটি অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো। বর্তমান সময়ে ওমেগা- ফ্যাট নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। হবেই না কেন? যদিও এটি নিজেই একটি ফ্যাট, কিন্তু ক্ষতিকারক ফ্যাট দূর করতে এর কোন জুড়ি নেই। শাক-সব্জি, মাশরুম, শস্যদানা, মাছ ইত্যাদি আপনাকে দিতে পারে যথেষ্ট পরিমাণ ওমেগা- ফ্যাট

৬. শ্বাস-প্রশ্বাস আস্তে আস্তে
কোন পরিশ্রম ছাড়া আমরা যেই কাজটি করতে পারি তা হলো সঠিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া। বেশির ভাগ মানুষই হয় দ্রুত না হয় অনেকক্ষণ পর পর শ্বাস গ্রহন করে। যদি এটি একটা ছন্দে করা যায়, অর্থাৎ আস্তে আস্তে শ্বাস গ্রহন নি:শ্বাস ত্যাগ করা যায় তাহলে পেটের খুব ভালো একটা ব্যায়াম হবে। প্রতিনিয়ত যদি এটি মেনে চলা যায় তাহলে পেটের মেদ কমাতে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে

যাদের পেটের মেদ খুব বেশি ভাবিয়ে তুলেছে তারা ছাড়াও সবাই এগুলো মেনে চলতে পারেন। তবে রাতারাতি ফলাফল পাওয়া যাবে বলা যায় না। হতাশ না হয়ে নিয়মিত এগুলো পালন করুন, আশা করা যায় খুব শীঘ্রই কাংখিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন

পড়ুন দেখবেন ভালো লাগছেঃ  
  1. যে ৮টি মশলা ওজন কমায়
  2. বেশি খেয়ে ওজন কমান!
  3. দৈনিক মাত্র ১০ মিনিট চুম্বন কমাবে অতিরিক্ত ওজন!
  4. লেবু-মধুর সরবত খাওয়ার সাবধানতা
  5. লেবুর ১৫ রকম উপকারিতা
  6. মধুর ১৭ রকম উপকারিতা
  7. সহজে ওজন কমাবে যে টি খাবার
  8. ব্যায়াম ছাড়াই ৬টি প্রাকৃতিক উপায়ে কমিয়ে ফেলুন বাড়তি ওজন!
  9. ওজন কমাতে হলে ধরনের পানীয়
  10. মেদ কমাতে পেটের সামনের পেশীমাসলের রেগুলার ব্যায়াম
  11. ফিট থাকতে কি খাব, কখন খাব
  12. দ্রুত ঝরে যাবে বাড়তি মেদ, ৪টি কাজ করুন সন্ধ্যা রাতে !
  13. কম খেয়ে কি ওজন কমান যায়
  14. বাড়তি ওজন কমাবেন কি ভাবে